মিথ্যা হলো পাপের জননী। অজস্র পাপের জন্মদেয়। মুনাফেকির চিহ্ন, যাহার পরিণাম জাহান্নামের নিকৃষ্ট স্থান। মিথ্যায় হয় ভয়ংকর পরিনতি।
একটি মিথ্যাকে ঢাকতে হাজারটা মিথ্যার প্রয়ােজন হয় তবুও সে মিথ্যা মিথ্যাই থেকে যায় । আর মিথ্যার পক্ষে যারা যুক্তি নিয়ে অবস্থান নেয় তারাও স্পষ্টত মিথ্যাবাদী।
মহান আল্লাহ তা’লা আমাদের সত্য ও মিথ্যা বুঝার তৌফিক দান করুন।আমিন
আল্লাহ তালা বলেন, ‘মিথ্যা তাে তারাই বানায়, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের ওপর ঈমান রাখে না। বস্তুত তারাই মিথ্যুক। সুরা নাহল , আয়াত : ১০৫
আল্লাহ তালা বলেন, ‘সুতরাং পরিণামে তিনি তাদের অন্তরে নিফাক (দ্বিমুখিতা) রেখে দিলেন সেদিন পর্যন্ত, যেদিন তারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, তারা আল্লাহকে যে ওয়াদা দিয়েছে তা ভঙ্গ করার কারণে এবং তারা যে মিথ্যা বলেছিল তার কারণে। সুরা তওবা, আয়াত : ৭৭
মানুষের কৃতকর্মের দরুন জলে -স্থলে বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে; যাতে ওদের কোন কোন কর্মের শাস্তি ওদেরকে আস্বাদন করানাে হয়। যাতে ওরা ( সৎপথে ) ফিরে আসে। সুরা আর রুম, আয়াত ৪১
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা) বলেন, ‘সত্যবাদিতা হচ্ছে শুভ কাজ। আর শুভ কাজ জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়। আর বান্দা যখন সত্য বলতে থাকে, একসময় আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসেবে পরিগণিত হয়। আর মিথ্যা হচ্ছে পাপাচার, পাপাচার জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়, বান্দা যখন মিথ্যা বলতে থাকে, আল্লাহর নিকট একসময় সে মিথুক হিসেবে গণ্য হয়। (বুখারি, হাদিস নং : ৫৭৪৩ ; মুসলিম , হাদিস নং : ২৬০৭ )
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, মুনাফেকদের নিদর্শন তিনটি : কথা বলার সময় মিথ্যা বলা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা এবং আমানতের খেয়ানত করা। (বুখারি, হাদিস নং : ৩৩, মুসলিম, হাদিস নং: ৫৯)
পরিশেষে বলতে চাই- অনন্তকাল বেঁচে থাকার কোন সুযোগ নেই। মরতেই হবে যখন, এই ক্ষনস্থায়ী জীবনকে প্রাধান্য না দিয়ে, পরকালীন জবাবদিহিতার ভয় করে, জান্নাত লাভের আশায়,আমরা যেন সত্য ও সুন্দরের পক্ষে আমাদের এই জীবনকে আল্লাহর রাহে উৎসর্গ করতে পারি। আমিন