নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতা কাজে লাগিয়ে আওয়াী লীগের সুবিধা বঞ্চিত কর্মীরা সমর্থকরা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
জানাযায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়নের চরাঞ্চল নুনেরটেক এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে যান। এ সুযোগে আওয়াী লীগের সুবিধা বঞ্চিত আরেকটা গ্রুপের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেন।
এই ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় স্থানীয় এক শ্রমিক লীগ নেতার ইন্ধন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি এসএম কামরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের নুনেরটেক এলাকার টেকপারা গ্রামে গত বুধবার সকালে, আওয়ামীলীগের লোকজন আওয়ামীলীগের নেতাদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় জিলানি, সোলমান, হাসান, নাছির, জসু, আসদ উল্লাহ, মুস্তফা,হোসেন,ফারুখসহ ৫০-৬০ জনের একটি দেশীয় অস্ত্রধারী দলবেঁধে ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি, আবুল হাসেম, মনির হোসেন, স্বপন মিয়া, নজরুল ইসলাম, মাহমুদ, আমজাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম মনির, খলিল মিয়া, জাকারিয়া ভূইয়া, মিজানুর রহমানের সহ আরো অনেকের ২৮টি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট করে ৭ লাখ টাকা,স্বর্ণ, পাসপোর্ট নিয়ে যায়।
এসময় আহত হয় ইউপি সদস্য ওসমান গনির স্ত্রী, আবুল হাসেমের মা ও বোন ইয়াসমিন সহ ৫ জন আহত হয়। হামলার সময় বাড়ির নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করে।
ভুক্তভোগী ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য ওসমান গণি বলেন, নামধার শ্রমিক লীগ নেতা ও ইউপি নির্বাচনের পরাজিত শক্তি তার রাজনৈতিক দ্বন্ধের কারণে দেশের অরাজক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে হঠাৎ আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে তারা বিএনপির লোক সাঝার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে আমার ওপর হামলা করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসেম বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমরা সহাবস্থানে ছিলাম। দেশের এমন টালমাটাল অবস্থায় তারা আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর, লুটপাট করে। তারা আমার অফিস থেকে ৭ লাখ টাকা লুট করেছে। তার মধ্যে দেড়লাখ টাকা মসজিদের উঠানো টাকা।
এ বিষয়ে, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শুক্কুর আল মাহমুদ হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা দুঃখজনক। আমি আওয়ামী লীগ করলেও আমার চাচা ও ফুফা বিএনপি করে তাই আমাদের বাড়িঘরে হামলা করেনি।
স্থানীয় বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির ও সাবেক ইউপি সদস্য জিলানী বলেন,এ হামলার সঙ্গে আমরা জড়িত না। দীর্ঘদিনের সুবিধাবঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভ থেকে আওয়ামীলীগের কয়েকজন যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে শুনেছি।