সিদ্ধিরগঞ্জ

মিটার টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরি, স্টোর কিপার ও স্ত্রীর নামে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকায় মিটার টেম্পারিং করে ১০তলা ভবনের বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ পাওয়ায় ডিপিডিসির (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি) এক স্টোর কিপার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকার বিদ্যুৎ চুরির মামলা করেছে ডিপিডিসি।

অভিযানের পর থেকে তার ভবন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে ডিপিডিসি। আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে বিদ্যুতের ওই কর্মচারী বর্তমানে ঢাকার পোস্তগোলার ডিপিডিসির স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

মামলা ও ডিপিডিসি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার আল হেরা ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লি. নামক ভবনে (যার বিদ্যুৎ গ্রাহক নং-১৫১৫২২৭০) অভিযান চালায় ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স দল। অভিযানে আসা দল এ সময় আব্দুল্লাহ আল মামুনের ১০তলা ভবনের বিদ্যুৎ সরবরাহের মিটারের টেম্পারিং করে বিদ্যুৎ চুরির প্রমাণ পায়। মিটার টেম্পারিং করে তিনি ৫ লাখ ৮ হাজার ৫৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ কারচুপি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয় মামলায়। যার জরিমানার বিলের পরিমাণ ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৬৫৯ টাকা।

৮ নভেম্বরের মধ্যে উক্ত বিল পরিশোধের জন্য ডিপিডিসি সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিট থেকে তাকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হলেও তিনি ওই বিল জমা দেননি। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর ডিপিডিসি এনওসি সিদ্ধিরগঞ্জ বাণিজ্যিক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আকরাম হোসেন বাদী হয়ে বিদ্যুতের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (আদালত নং-৪) একটি মামলা দায়ের করেন (যার নং-২০৩/২১)। মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মমতাজ বেগমকেও আসামি করা হয়েছে।

মামলা ও বিদ্যুৎ চুরির ঘটনায় আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য জানতে তার ভবনে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই ভবনের একাধিক বাসিন্দা জানান, ঘটনার পর থেকে তাদের ওই ভবনে দেখা যাচ্ছে না। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ডিপিডিসির সিদ্ধিরগঞ্জ বাণিজ্যিক কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মিটার টেম্পারিং ও বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা অবহিত হয়ে ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স দল অভিযান চালিয়েছিলো। বিদ্যুৎ চুরি ও মিটার টেম্পারিংয়ের প্রেক্ষিতে আমরা ওই গ্রাহকের কাছ থেকে বিদ্যুত আইন অনুযায়ী জরিমানাসহ ১ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ৬৫৯ টাকা নভেম্বরের ৮ তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ওই টাকা পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে আমরা মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। একই সময় আমরা ওই ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছি।

Related Articles

Back to top button