স্কুলের সামনে সিগারেটের দোকান, বন্ধ করার নির্দেশে চেয়ারম্যানকে নিয়ে ‘অপপ্রচার’
সোনারগাঁ প্রতিনিধি, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
স্কুলের পাশে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি নিষেধ করেছিলেন চেয়ারম্যান, দোকানী না মানায় হয়েছে বাকবিতন্ডাও। অথচ, মিথ্যা মিশিয়ে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।ভুক্তভোগী চেয়ারম্যান বলছেন, ‘পুরো ঘটনার সাথে সাত খুন মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের শ্যালক নূরে আলম খান জড়িত।’
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর; এটা সবারই জানা। অনেকের মতে, ধূমপান মানে বিষ পান করা। কিন্তু তারপরও বহু মানুষ ধূমপান করছে। বিশেষ করে কিশোর-তরুণেরা। এর ফলে তারা আক্রান্ত হচ্ছে ফুসফুসের ক্যানসার, হৃদ্রোগ, ব্রঙ্কাইটিস, যক্ষ্মা, ডায়াবেটিস, হাঁপানিসহ নানা প্রাণঘাতী রোগে।
তাই সরকার ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন গঠন করে। আইনটির ৬ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, অপ্রাপ্ত বয়স্ক অথাৎ ১৮ বছরের কোন ব্যক্তির নিকট তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় বা বিতরণ নিষিদ্ধ। কেউ এই বিধান লঙ্ঘন করিলে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে। একই আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি কোন পাবলিক প্লেসে সিগারেট বিক্রি করতে পারবে না। অথচ, সোনারগাঁয়ের মোশারফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে সরকারি জমি-রাস্তা দখল করে গড়ে উঠা দোকানে তামাকজাত দ্রব্য দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল।
সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন ওই স্কুলের সামনে সিগারেট বিক্রি করতে নিষেধ করেন। সেই সময় স্থানীয় দোকানী চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে সরকারি জায়গার একটি অংশ দখল করে গড়ে তোলা দোকানটি বন্ধের নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা জানান, ‘২ বছর আগের ঘটনা। কিন্তু সেই ঘটনাই এখন রং লাগিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, চেয়ারম্যান একজন নিরিহ ব্যবসায়ীকে জমি দখলের জন্য দোকান খুলতে দিচ্ছে না। যার পুরোটাই মিথ্যা।’
স্থানীয়রা জানায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কাঁচপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেনের প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে চাইছেন সাত খুন মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত প্রধান আসামী নূর হোসেনের শ্যালক নূরে আলম খান ও তার সিন্ডিকেট। এই চক্রটি নানা ভাবে, বর্তমান চেয়ারম্যানের সুনাম নস্টের অপচেস্টা চালাচ্ছেন।
চেয়ারম্যান মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদে আমার দায়িত্বের বাহিরে গিয়েও যে কাজ গুলো করেছি, তার জন্য নৌকার মনোনয়ন পাওয়া যে কারো কষ্টের হবে। এটা প্রতিপক্ষ চক্র বুঝতে পেরেছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে পূর্বের বিভিন্ন ঘটনা গুলোর সাথে মিথ্যা মিশিয়ে অপপ্রচার করছে এবং কিছু কিছু সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশও করানো হচ্ছে। ইউনিয়নের জনগণ জানে, কারা অপরাধের সাথে জড়িত, কারা মাদকের সাথে জড়িত। চাঁদাবাজী-সন্ত্রাসীদের স্থান এই ইউনিয়নে হবে না। কোন অপচেষ্টাই সফল হবে না। সত্যটুকু আমার ইউনিয়নের জনতা, নেতা-কর্মী যেমন জানে, তেমনী প্রশাসনের কাছেও তথ্য রয়েছে।