সোনারগাঁয়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর বিসিক শিল্প এলাকা থেকে রপ্তানিকৃত গার্মেন্টস পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান হতে পোশাক চুরির সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১১ একটি দল।
এসময় তাদের কাছ থেকে কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকসহ একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলো- মোঃ লোকমান চৌকিদার, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ শাকিল, মোঃ লিটন, মোঃ দুলাল, মোঃ মোস্তফা, মোঃ মিনহাজ আহম্মেদ ও মোঃ রুবেল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র্যাব ১১ অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম।
র্যাব ১১ অধিনায়ক লে. কর্ণেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড এন্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর ভেতরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান হতে অভিনব কায়দায় পোশাক চুরি করার সময় তাদের আটক করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার অপ্টিমাম ফ্যাশন ওয়ের লিমিটেড নামের একটি ফ্যাক্টরীর রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান শিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কাঁচপুর বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড এন্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর ভেতর কাভার্ডভ্যান ঢুকিয়ে ফ্যাক্টরীর কিছু অসাধু কর্মচারী এবং কাভার্ডভ্যানের অসাধু চালক ও হেলপারের যোগসাজশে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র রপ্তানিজাত পোশাক চুরি করে আসছিল। এ চোরচক্র রপ্তানিজাত পোশাকভর্তি কাভার্ডভ্যান তাদের সুবিধামত স্থানে নিয়ে শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত করা পোশাকভর্তি কার্টুন খুলে অভিনব কায়দায় প্রতি কার্টুন থেকে ১০ থেকে ২০টি করে পোশাক চুরি করে আত্মসাৎ করে। তাদের এসকল চুরির ফলে গার্মেন্টস মালিকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন। এছাড়াও চাহিদা ও অর্ডার অনুযায়ী শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতাদের নিকট দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
এ সকল অবৈধ চোরাই কার্যকলাপের প্রেক্ষিতে র্যাব -১১ একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুর শিল্পনগরী এলাকায় অবস্থিত প্রিমিয়াম বেভারেজ ফুড এন্ড ড্রিংকিং ওয়াটার লিমিটেড ফ্যাক্টরীর ভেতর কাভার্ডভ্যান হতে পোশাকভর্তি কার্টুন খুলে রপ্তানিজাত পোশাক চুরির সময় কোটি টাকার রপ্তানিজাত চোরাই পোশাকভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করে। এ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৮ জনকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আসামিরা স্বীকার করে, তারা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। ভবিষ্যতে এ সংঘবদ্ধ চোরাইচক্রের পলাতক সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের গোপন অনুসন্ধান ও কঠোর নজরদারী অব্যাহত থাকবে। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামীদের আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হন্তান্তর করা হবে বলে জানিছে র্যাব।