সোনারগাঁয়ে কারুশিল্পীদের দোকান ভাঙ্গার অভিযোগ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস ২৪ ডটকম :
সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের কারুপল্লীতে কারুশিল্পীদের বরাদ্ধকৃত দোকান ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকালে বরাদ্দকৃত দুটি দোকান ভেঙ্গে ফেলে। এ দোকান বরাদ্দে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন কারুশিল্পীরা।
গত ২২ ফেব্রুয়ারী সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর বেঞ্চে ১৩ জন কারুশিল্পীদের পক্ষে কারুশিল্পী সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে এ পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়। আদালতে রিট পিটিশন দায়েরের পরও ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কারুশিল্পীদের দোকান ভেঙ্গে দেন। দোকান ভাঙ্গার কারনে কারুশিল্পীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের অভ্যান্তরে কারুশিল্পীদের কারুপন্য বিপননের জন্য ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কারুপল্লী স্থাপন করেন। ওই মার্কেটে ৩৫টি দোকান ছিল। মার্কেটটি জরাজীর্ণ হওয়ার কারনে ২০১২ সালে পুনরায় সংস্কার করে ৪৮টি দোকান তৈরি করে কারুশিল্পীদের মধ্যে বরাদ্দ দেন। এ ৪৮টি দোকান থেকে ২০ জন প্রকৃত কারুশিল্পী দোকান বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত হন। এ দোকান বরাদ্দ না পেয়ে কারুশিল্পীরা ২০১৩ সালে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী রিটে কারুশিল্পীদের পক্ষে আদালত রায় প্রদান করেন।
ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ ২০ জন কারুশিল্পীদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে ২৮টি দোকান থেকে পুনরায় ১৩জন কারুশিল্পীর দোকান বরাদ্দ দিতে তালবাহানা শুরু করে। ফলে ১৩ জন কারুশিল্পীদের পক্ষে সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে এ রিট পিটিশন দায়ের করেন।
উচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করেন, সেলিনা আক্তার, মো. হাবিবুর রহমান ডালিম. সামসুন্নাহার, মো. রায়হান, মো. জাহাঙ্গির আলম, মনিরুজ্জামান মনির, আছমা বেগম, মো. হাবিবুর রহমান, রুবিনা আক্তার, মো. সালাউদ্দিন, মো. আনোয়ারুজ্জামান, নারগিস আক্তার ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।
গতকাল শনিবার আদালতকে উপেক্ষা করে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ কারুশিল্পীদের দোকান ভেঙ্গে দেন।
কারুশিল্পী হাবিবুর রহমান ডালিম বলেন, ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ দু’দফায় আমাদের দোকান বরাদ্দ দিয়েছেন। ওই দোকান আমাদের বুঝিয়ে দেননি। বিষয়টি মিমাংসার জন্য উচ্চ আদালতের গিয়েছি। তারপরও আমাদের দোকান ভেঙ্গে দেন।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম বলেন, ফাউন্ডেশনের বিক্রয় কেন্দ্রটি কারুপল্লীতে স্থানান্তরের জন্য দুটি দোকান ভেঙ্গে বড় আকারে বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। আদালতে মিমাংসা হলে আরো দোকান রয়েছেন সেখান থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে।