সোনারগাঁয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় জাতীয় পার্টি নেতা সানাউল্লাহ বেপারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ-৩, সোনারগাঁ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার নাম ভাঙিয়ে সে এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের মামরকপুর এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. হাবিবুর রহমান এর বাড়ীতে বসবাসকারি তার বোন শাহিনুরের কাছ থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন সানাউল্লাহ। এ ঘটনায় প্রবাসীর বোন মোসা: শাহীনুর লিখিত অভিযোগ করেন থানায়। এতে সানাউল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে দেশিয় ছেনা হাতে প্রকাশ্যে শাহিনুরের উপর হামলা চালায়। এ সময় শাহীনুর দৌড়ে ঘড়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করলে সানাউল্লাহ দরজা মধ্যেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে চলে আসে। বাহিরে এসে তাদের রাস্তার মাটি কেটে পুকুরে ফেলে যায়।
এ সময় একই এলাকার মো. লিয়াকত আলী, আব্দুল মালেক ও আব্দুস সাত্তার নামের তিনজন বয়স্ক লোক জানান, সানাউল্লাহ আমাদের চোখের সামনে তাদের রাস্তার মাটি কেটে পুকুরে ফেলে যায়। আমরা তাকে বাধা দিলে সে তা অমান্য করেন ও বলেন আমি তিন লাখ টাকা পাই শাহীনুরের কাছে, না দেয়া পর্যন্ত তাকে শান্তিতে থাকতে দিবো না।
এছাড়াও স্থানীয়রা আরো বলেন, সে এমপির লোক মনে করে অনেকেই তাকে কিছু বলছেনা। সে আমাদের আত্মীয় -স্বজন। যখন এই এলাকায় কেউ কোন নতুন দালান উঠাতে চাইবে তখন সে তার কাছেই চাঁদা দাবি করে বসে।এ বিষয়ে শাহিনুর আক্তার জানান,আমার চার ভাই সৌদি আরবে বসবাস করে। তারা ওখান থেকে আমাকে বিল্ডিং নির্মাণ করা ও দেখাশুনা করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি এখানে আমার ছেলে মেয়েদের নিয়ে একা বসবাস করি। সেই কারনে আমাকে একা পেয়ে ছানাউল্লাহ তার দলবল নিয়ে আমার কাছে প্রথম দশ লক্ষ টাকা পরে পাঁচ লক্ষ এবং তার পরে তিনি লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করিতেছে। আমি তাদের চাঁদা দিতে না চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করতে চায় এবং দা দিয়ে কুপিয়ে আমার ঘরের দরজা কেটে ফেলছে।এই কারনে আমি সোনারগাঁ থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলার অভিযোগ দায়ের করি। তারপর আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আল -আমীন সরকার এর মাধ্যমে এটা কিছুদিন থেমে থাকে এবং ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবে না বলে বন্ধ থাকে। কিন্তু পুনরায় আবার সানাউল্লাহ তার দলবল নিয়ে ৩১ শে মার্চ রোজ শুক্রবার রাত ৮ টার সময় চাঁদা না দেওয়ার কারনে আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটি কেটে ফেলে এবং রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। তাদের অত্যচার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে বিধায় কোন উপায়ান্তর না পেয়ে আমি সাংবাদিকদের জানাই এবং চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের সহযোগীতা চাই।
সানাউল্লাহ মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আমার সম্মান নষ্ট করতে চায় শাহীনুর। আপনি এই নিউজ করিয়েন না প্লিজ, আমি আপনাদের সাথে আধাঘণ্টার মধ্যেই দেখা করবো। আমি ঐ নারীর কাছে তিন লাখ টাকা পাওনা আছি। সেটা চাওয়াটা কি আমার ভুল?