সোনারগাঁ
সোনারগাঁয়ে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার ; ওভার পাস নির্মানের দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস ২৪ ডটকম : সোনারগাঁয়ের ব্যস্ততম এলাকা মোগড়াপাড়া চৌড়াস্তা। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের দুপাশেই বড় বড় শপিংমল, বাজার, ব্যাংক-বিমাসহ গুরুত্বপুর্ন স্থাপনা। সঙ্গত কারণেই প্রতিদিন লক্ষাধিক লোক ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। যা দেখলেই আতংকিত হওয়ার মতো।
জনগনের চলাচলের সুবিধার জন্য ফুট ওভারব্রীজ নির্মান করা হলেও কাঁচাবাজার থেকে বেশ খানিকটা দূরে এবং সেখানে কোন ছাউনি না দেয়ায় রোদ বৃষ্টি ঝড়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ পথচারীদের। এছাড়াও ফুট ওভারব্রীজটি অনেক উঁচু ও দীর্ঘ হওয়ায় দূর্বল, অসুস্থ ও ভারী বাজার-সদাই বহনকারী পথচারীদের পড়তে হয় চরম বিপাকে। বর্ষা ও গ্রীষ্ম মৌসুমে কখনো কখনো তীব্র গরম আবার হুটহাট বৃষ্টিতে প্রাই বিপদে পড়তে হয় তাদের। তাই অনেকে সময় ও শ্রম বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাজারের বোঝা নিয়ে হাইওয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার কাঁচাবাজার ফেরত পথচারী ফুল বানু বলেন, বাবা গ হাত পা ভাংইঙ্গা আইয়ে এতো ওছা লম্বা ওভারব্রীজ ওঠতে পারিনা।
মোগড়াপাড়া চৌড়াস্তা এলাকার শ্রমিক নেতা নূর নবী বলেন, ফুট ওভারব্রীজ নয়, এখানে ওভার পাসিং হলে সড়ক পারাপারে দুর্ঘটনা বন্ধ হবে ও যানজট একেবারে থাকবে না।
ওভারব্রীজ বর্জনকারী এক পথচারীর বাবু বলেন, আমি দোকান কর্মচারী রাস্তার দুই পাশেই অনেক মার্কেট ও বাজার থাকায় সব সময়ই জরুরী প্রয়োজনে এপার থেকে ঐপার আসা যাওয়া করা লাগে। ভারি মালপত্র নিয়ে ওভারব্রীজ পারাপার অনেক কষ্টের। আমাগো ওভারব্রীজে ছাউনিও নাই, কোন সুবিধাই নাই। মানুষ যদি সুবিধাই না পায় তাহলে কষ্ট করে এত উপরে উঠে দীর্ঘ ওভারব্রীজ কেন ব্যবহার করবে ? তাই কষ্ট এড়াতে শটকাটে নিচে সড়কের ফাঁক-ফোকর দিয়ে রাস্তা পার হইলাম।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী আতিকুল ইসলাম সোনারগাঁ টাইমস কে বলেন, লিখিত দরখাস্ত পেলে মন্ত্রনালয়ে চাহিদাপত্র দিয়ে পাঠাবো।
স্থানীয় সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, শিঘ্রই কাঁচা বাজারে সামনে আরেকটি ফুটওভার ব্রিজ হবে।