রাত ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ! সকল ভোটারের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেন ইরান
ডেস্ক রিপোর্ট, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে স্থানীয় সময় রাত ২টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। অর্থাৎ একটানা ১৯ ঘণ্টা ইরানের ভোটারদেরকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ায় শনিবার (১৯ জুন) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণের মূল সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বহু মানুষ ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করায় কয়েক দফা সময় বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত রাত ২টায় ভোটাভুটি শেষ হয় তবে রাত ২টার মধ্যে যারা ভোটকেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত হতে পেরেছেন তাদেরকে ২টার পরও ভোট দেওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুক্রবার সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইরানব্যাপী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হয়। এছাড়া, বিশ্বের আরও ১০১টি দেশে বসবাসরত প্রবাসী ইরানিদের জন্য ৪৫০টি ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। এসব ভোটকেন্দ্রে প্রবাসী ভোটাররা বিপুল উৎসাহ নিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ইরানের বিভিন্ন শহরে কঠোর লকডাউন ও কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের ভোট দেওয়ার জন্য ভ্রাম্যমান ভোটকেন্দ্র খোলা হয়। হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় ব্যালটবাক্স পাঠিয়ে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
ইরানের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী- কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এটা ইরানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন মোট ৫২৯ জন। এর মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন ৭ জন। অবশ্য শেষ মুহূর্তে তিন জন ‘সরে দাঁড়ানোয়’ এখন প্রার্থী রয়েছেন মোট চারজন। সংস্কারপন্থি ও মধ্যপন্থি প্রার্থীদের চাপ প্রয়োগ করে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একেবারে শেষ সময়ে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ওই তিন প্রার্থী।
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি, মোহসেন রেজায়ি, আব্দুন নাসের হেম্মাতি এবং কাজিযাদে হাশেমি। অবশ্য ভোটগ্রহণের আগে প্রার্থী মেহের আলীজাদে অপর সংস্কারপন্থী প্রার্থী আব্দুন নাসের হেম্মাতির প্রতি ‘সমর্থন জানিয়ে’ নির্বাচনী লড়াই থেকে ‘সরে দাঁড়ান’ এবং অন্য দুই প্রার্থী আলীরেজা যাকানি ও সাঈদ জালিলি ‘নিজেদের প্রত্যাহার’ করে নিয়ে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির প্রতি ‘সমর্থন ঘোষণা’ করেন।