মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় একটি পরিবারকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের ভাগলপুর গ্রামে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় মো. নূর নবী (২৫) নামে এক যুবক ও তার বাবা-মাকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে একাধিক মামলার পলাতক আসামি তকবির কসাইসহ মাদক সেবীরা।
এলাকাবাসী উদ্ধার করে দ্রুত তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় সোনারগাঁও উপজেলার কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত নূর নবীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকা মেডিকেলে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় আঘাতের ফলে মো. নূর নবীর কান দিয়ে রক্ত পড়ছে।তার অবস্থা সংকটাপন্ন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁও থানায় নূর নবীর বাবা আহত মহিউদ্দিন বাদি হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, ভাগলপুর গ্রামের পাশের গ্রাম শুকুরদীর লিটনের ছেলে জাহিদ হোসেন (২০), সিরাজুল ছেলে লিটন (৪৫), একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি তকবির কসাই (৪০) ও তকবির কসাইয়ের ছেলে আবু সাঈদ (১৮)।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামে ওই সন্ত্রাসীরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বকুল আহমেদের নের্তৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
নুরু নবীর মা নুরুনাহার ও বাবা মহি উদ্দিনকে সোনারগাঁও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে আহত নুরু নবীর শরীরের অবস্থার অবনতি হলে সোনারগাঁও উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্ত্যবরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
আহত মহিউদ্দিন বলেন, মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি তকবির ও তার মাদকসেবী সন্ত্রাসী বন্ধুরা আমার ও আমার ভাইয়ের বাড়ির আঙ্গিনার ভেতরে ঢুকে প্রায়ই ইয়াবা সেবন করেন। আমি বাধা দিলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে আমার বাড়ীর রাস্তায় থাকার সময় আসামিরা আমার ছেলে, আমাকে ও আমার স্ত্রী নুরুনাহারের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এ সময় আমার ছেলে নুরু নবী চাকরি শেষে বাড়ি ফেরার পথে তার ওপরও হামলা চালিয়ে হামলাকারীরা। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে পুরো শরীরে গুরুতর জখম করেছেন।
সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।