প্রস্রাবের কিছুক্ষণ পর প্রস্রাবের ফোটা আসার সন্দেহ হলে করণীয় কী?
অনলাইন নিউজ ডেস্ক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন হুজুর? এক ব্যক্তি বড় দীর্ঘ দিন যাবত বড় ধরনের পেরেশানিতে লিপ্ত। মাঝে মাঝে মনে হয় এ জীবনের চাইতে মৃত্যুই ভাল। দয়া করে খুব দ্রুত কোন সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জাযায়ে খায়ের নসিব করুন। আমিন।
সমস্যাটা হল, পেশাব করার পরে পবিত্রতা অর্জন সংক্রান্ত।
পেশাবের পর টয়লেট পেপার ব্যবহার করে অনেক খন যাবত হাটাহাটি ও অন্যান্য পাক হবার মাধ্যম অবলম্বন করে পাক হবার পর ও পানি ব্যবহার করলে দেখা যায় ১৫/ ২০/২৫ মিনিট পরেও অনেক সময় দেখা যায় মূত্রনালি ঢিলা ও শিথিল হয়ে পেশাবের ফোঁটা নির্গত হয়।
এমতাবস্থায় এ রোগের জন্য অনেক দীর্ঘ দিন যাবত অসুধ খেয়েও বিশেষ কোন উপকার পাওয়া যায় নাই। এমতাবস্থায় যদি কখনো বারে বার পেশাবের জরুরত হয় অথবা অন্য কোন কারণে নামাজের সময় কম থাকে এ ক্ষেত্রে যদি পেশাবের পরে দ্রত মুত্রনালিতে জমা কৃত পেশাবের ফোঁটা নির্গত করার উদ্দেশ্যে যদি মুত্রনালিতে বেশি চাপ প্রয়োগ করা হয় তাহলে এমোবস্তায় সেক্ষেত্রে মনে হয় মুত্রনালির দুর্বলতা রোগ আরও বেশি বেড়ে যাওয়ার কারণ হয়।
পক্ষান্তরে যদি তা না করে স্বাভাবিকভাবে অপেক্ষা করা হয়, তবে নামাজের ওয়াক্ত চলে যাবার আশঙ্কা থাকে, এমতাবস্থায় কী করণীয়? মেহেরবানী করে সর্বদিক বিবেচনা করে খুব দ্রুত একটা সুন্দর সমাধান দিয়ে বাধিত করবেন।
যেন উক্ত ব্যক্তির নামায নষ্ট না হয় এবং এ ভয়ংকর রকম মানসিক কষ্ট থেকে স্থায়ী মুক্তি লাভ হয় আল্লাহ তায়লা হুজুরকে দুনিয়া আখিরাতে অশেষ জাযায়ে খায়ের নসিব করেন। আমিন।
উত্তর: আপনার সমস্যা যতোটা না মাসআলা কেন্দ্রীক। তার চেয়ে বেশি মানসিক। তাই প্রথমে নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস আনতে হবে। পেশাব করার পর স্বাভাবিকভাবে পেশাবের ফোটা বন্ধ হওয়া পরিমাণ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। লজ্জাস্থানে কিছুটা পানি ছিটিয়ে দিবেন।
তারপর আপনি পবিত্র হয়ে গেছেন, আপনার আর পেশাব বের হচ্ছে না বা বের হবে না এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে অজু করে নামায পড়তে চলে যাবেন। মনের মাঝে আর কোন সন্দেহ বা সংশয়কে প্রশ্রয় দিবেন না। তারপর যদি আবার পেশাব ঝরে বলে আপনি নিশ্চিত হন, তাহলে ঐ যায়গাটা পবিত্র করে আবার অজু করে নিবেন।
পেশাব ঝরা নিশ্চিত না হলে মনে মনে সন্দেহ সংশয়কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। যদি বারবার অহেতুক সন্দেহ হয়, ভিজা অনুভূত হয়, তাহলে উক্ত সিক্ততাকে পেশাবের পর পানি ব্যবহার করার পানিকে মনে করে মনকে শান্ত রাখবে। কেবল নিশ্চিত হলেই অজু করতে হবে। সন্দেহের কারণে অযু করার প্রয়োজন নেই।
এভাবে সন্দেহ করতে থাকলে তা আপনার জন্য মারাত্মক মানসিক রোগে পরিণত হবে।
ثم المراد بالخروج من السبلين مجرد الظهور
فى رد المحتار: فلو نزل البول إلى قصبة الذكر لا ينقض بعدم ظهوره، يخالف القلفة، فإنه بنزوله إليها ينقض الوضوء (رد المحتار-١/٢٦٢؛ بدائع الصنائع-١/١٢١(
ولو نزل البول الى قصبة الذكر لا ينقض، لأنه من الباطن، ولو خرج إلى القلفة او إلى اسكنى المرأة ينقض، لأنه من الظاهر (الفتاوى التاتارخانية-١/٢٤١، رقم- ١٨٥(
البول المنتضح قدر رؤس الإبر معفو للضرورة وإن امتلأ الثوب كذا فى التبيين الخ، هذا إذا كان الانتضاح على الثياب والأبدان، أما إذا انتضح فى الماء فإنه ينجسه ولا يعفى عنه (الفتاوى الهندية-1/46(
ولو عرض له الشيطان كثيرا لا يلتفت إلى ذلك كما فى الصلاة، وينضح فرجه بماء حتى لو راى بللا حمله على بلة الماء، هكذا فى الظهيرية (الفتاوى الهندية-1/491(
قوله: لطمانينة القلب لأنه أمر بترك ما يريبه إلى مالا يربيه، وينبغى أن يقيد هذا بغير الموسوس، أما هو فيلزمه قطع مادة الوسواس عنه وعدم التفاته إلى التشكيك لأنه فعل الشيطان، وقد أمرنا بمعادته ومخالفته، (رد المحتار-1/240(
উত্তর লিখনে: লুৎফুর রহমান ফরায়েজী; পরিচালক-তালীমুল ইসলাম ইনষ্টিটিউট এন্ড রিসার্চ সেন্টার ঢাকা। উস্তাজুল ইফতা– জামিয়া কাসিমুল উলুম সালেহপুর, আমীনবাজার ঢাকা।