রূপগঞ্জ

ধর্ষণের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি রূপগঞ্জে ভুক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন

রূপগঞ্জ সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় গৃহবধূকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া
মঠেরঘাট এলাকায় রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, গ্রেফতারকৃতদের বাবা আব্দুল হক, মা মাজেদা বেগম, ভাসুর মামুন মিয়ার স্ত্রী বিপাসা বেগম।

ভুক্তভোগীদের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, গত ২ বছর আগে আবুল
হোসেন আমিরের সঙ্গে উপজেলার মুড়পাড়া ইউনিয়নের মীরকুটিরছের
এলাকার নেহা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবুল হোসেন আমির তার
স্ত্রী নেহা আক্তারকে রেখে প্রবাসে চলে যায়। পরে ওই গৃহবধূ নেহা আক্তার পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। গৃহবধূ নেহার সঙ্গে ভারতীয় এক যুবকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৮ জুন গৃহবধূ নেহা আক্তার শশুর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণলঙ্কার
নিয়ে ভারতীয় ওই ছেলের কাছে যাওয়ার জন্য পালিয়ে যায়।

পরে ভাসুর মামুন ও দেবর রাকিবুল ইসলামসহ পরিবারের লোকজন পুলিশের
সহযোগিতায় নেহা আক্তারকে ফিরিয়ে আনে। গৃহবধূর পরিবারের লোকজন পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে আবুল হোসেন আমিরের বড় ভাই মামুন মিয়া ও ছোট রাকিবুল ইসলামসহ পরিবারের সকল সদস্যদেরক মীরকুটিরছেঁর এলাকায় নেহা আক্তারের
বাড়িতে ডাকে।

গত শুক্রবার বিকেলে ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলাম গৃহবধূর বাবার বাড়িতে গেলে পুলিশ তাদের ধর্ষণের অভিযোগ এনে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

পরিবারের সদস্যরা ভাসুর মামুন মিয়া ও
দেবর রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তদন্ত করে প্রকৃত ধর্ষণের মামলা উন্মোচনের দাবি জানান।

এর আগে, গত শুক্রবার রাতে এক ধর্ষণের অভিযোগ এনে গৃহবধূ ভাসুর ও দেবরকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে রাতেই পুলিশ ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ জানান, গৃহবধূ ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর পর ভাসুর দেবরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Related Articles

Back to top button