দুনিয়া আখেরাতে সুখি হতে পরিবারের জন্য একজন আলেম পরামর্শক রাখুন!
অনলাইন নিউজ ডেস্ক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
একজন আলেমে দীন দীনের পথে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে সবচেয়ে বেশি জানেন। তাই তাদের পরামর্শই একটি পরিবারকে দুনিয়ায় ও আখেরাতে আল্লাহর বিধানাবলী মানতে সহায়ক হবে। আর আল্লাহর বিধান পরিপূর্ণ মানতে পারলেই উভয় জাহানে সুখে শান্তিতে থাকা যাবে। সেজন্যই কিছু পরামর্শ আপনার জন্য।
১. অভিজ্ঞ একজন আলিম (মুফতি)-এর সাথে পারিবারিকভাবে যুক্ত থাকা আবশ্যক। যাকে মাঝেমধ্যে দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে আনা যাবে। প্রয়োজনে যার কাছে গিয়ে মাসয়ালা চাওয়া যাবে। পরামর্শ করা যাবে। হুজুর বাড়িতে এসে অল্পসময় দ্বীনি কথা শোনাবেন। কোনও অসঙ্গতি চোখে পড়লে, হেকমতের সাথে ধরিয়ে দেবেন।
২. আলিমকে দাওয়াত দেয়ার সময় তার আহলিয়াকেও দাওয়াত দেয়া জরুরি। তাহলে বাড়ির মহিলাগন হুজুরের আহিলার সাথে পরিচিত হবেন। প্রয়োজনে তাঁর মাধ্যমে হুজুরের কাছ থেকে মাসয়ালা জেনে নেবেন।
৩. সবজান্তা নিষ্পাপ হুজুর খুঁজলে, জীবনেও মিলবে না। সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা ও দোয়া করার পর, আল্লাহ যাকে মিলিয়ে দেন, ভাল। নিজের অবস্থানের আশপাশের হুজুর হওয়া জরুরী। যখন তখন তাকে পাওয়া যাবে।
৪. সচেতন (প্র্যাকটিসিং) মুসলিম হয়েও একজন আলিমের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ না থাকাটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের উপন্যাস ‘ইশকুল অব লাভে’ বিষয়টি বলার চেষ্টা করেছিলাম। হয়তো ওভাবে বলতে পারিনি। প্রকাশিতব্য উপন্যাস ‘দোস্ত, জানেমানেও’ এ-বিষয়টা তুলে আনার চেষ্টা করেছি।
৫. ইসলামচর্চার এটাই আবহমান ধারা। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাল থেকেই এই ধারা চলে আসছে। বর্তমানে সমাজে হুজুরদের দাওয়াত করে খাওয়ানোর যে ধারা প্রচলিত আছে, এটা কিন্তু সেই নববী ধারারই পরিবর্তিত রূপ। শুধু খাওয়া-দাওয়াটুকু বাকি আছে, বাকি মূল উদ্দেশ্য অন্তর্হিত হয়ে গেছে।
৬. একজন হুজুরের সাথে কীভাবে সম্পর্ক গড়ে উঠবে? হুট করে গিয়েই বলব, হুজুর আপনাকে আমাদের পারিবারিক হুজুর হতে হবে, এভাবে? উঁহু! হুজুরের সাথে প্রথমে কিছুদিন এমনি সৌজন্য সাক্ষাত করতে হবে। সম্ভব হলে তাওফীক অনুযায়ী হাদিয়া প্রদানও হতে পারে। ধীরে ধীরে সম্পর্কটা পাকা করে তুলতে হবে।
৭. সম্ভব হলে, পুরো পাড়া বা মহল্লার সবাই একজোট হয়ে একজন হুজুরের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। মাসে অন্তত একবার হলেও হুজুরকে ঘরে বা মহল্লায় আনা জরুরি। হাজারো পরিবার আছে, তিনপুরুষ মিলেও একবার কোনও হুজুরকে বাড়িতে আনার সৌভাগ্য হয়নি। না না, খাবার-দাবারের ‘মোল্লাপ্রথার’ কথা বলছি না, হুজুরের কাছ থেকে নসীহত শোনার উদ্দেশ্যে দাওয়াতের কথা বলছি।
৮. আমরা বিখ্যাত, তুমুল ব্যস্ত শিডিউলড হুজুরের কথাও বলছি না। তাদেরকে সবসময় মনের মতো করে পাওয়া যায় না। ৯. আর হাঁ, এই ব্যবস্থা শুধু আওয়াম মানে জেনারেল শিক্ষিত পরিবারের জন্যই নয়, আলিম পরিবারের জন্যও জরুরী। ঘরের মানুষকে সবসময় সব কথা বলা যায় না। ঘরের মানুষ সবসময় নসীহত গুরুত্বও দিতে চায় না। বাইরের কেউ এসে নসীহত করলে, বাড়তি গুরুত্ব থাকে।
১০. বিশুদ্ধ নববীধারায় হুজুর দাওয়াত দিয়ে ঘরে আনার সুন্নতী রেওয়াজ কিন্তু এখনো নির্দিষ্ট মহলে সীমিত পরিসরে বিদ্যমান আছে। এখন প্রয়োজন এর ব্যাপক প্রচলন। রাব্বে কারীম আসান করুন। কবুল করুন। সূত্র: শাইখ আতিকুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ। এর টাইমলাইন থেকে।