তৈমূরের কর্মকান্ডে ফুটে উঠেছে উনি শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট: আইভী
নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :
আগামী ১৬ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। যতই দিন ঘনিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে। কে হচ্ছেন নগর পিতা এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। চায়ের দোকান থেকে অফিস আদালত সর্বত্রই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। প্রার্থীদের ব্যানার ও লিফলেটে ছেয়ে গেছে নগরীর অলিগলি। প্রচারণার মাইকিংয়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এড. তৈমূর আলম প্রতিদিনই চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী এলাকা। ভোটারদের দিচ্ছেন নানান প্রতিশ্রুতি। প্রার্থীদের বাকযুদ্ধে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন।
সোমবার (১০ জানুয়ারী) সকালে নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণা চালান আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৈমূর আলম প্রসঙ্গে বলেছেন, তৈমূর আলম খন্দকারের কর্মকান্ডে ফুটে উঠেছে উনি শামীম ওসমানের ক্যান্ডিডেট।
নিজেকে প্রটেক্ট করার জন্য যদি আমাকে গডমাদার বলেন পক্ষান্তরে উনি উনার সন্তানকেই বলছেন। আমি কিন্তু উনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি। আমি চাইলে অনেক কিছু বলতে পারি উনার নামে কিন্তু বলবো না। উনাকে সম্মান করে আমি নির্বাচন চালিয়ে যাবো।
তিনি বলেন, তৈমূর আলম খন্দকার তো গডফাদারের বাইরে নয়। উনি আমাকে গডমাদার বলে খুব খারাপ কাজ করেছে। উনাকে আমি এ ধরণের কথা বলিনি। তৈমূর আলম আশ্রয় নিয়েছে আমি সেই কথাটা বলেছি। উনি যদি তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় না দাঁড়াতেন তাহলে চারজন চেয়ারম্যান কিন্তু দাঁড়াতো না।
শামীম ওসমানের সমর্থনের ব্যাপারে আইভী বলেন, আমি বলি নাই শামীম ওসমানের সমর্থন দরকার নাই। আমার দল যেহেতু নমিনেশন দিয়েছে আমাকে দলের লোকেরা আমাকে ভোট দিবে। যদি দুই একজন ব্যতিত হয় সেটা আলাদা ব্যাপার।
ভোটারদের কাছে অপরিহার্য নয় কে সমর্থন দিলো। সাধারণ ভোটার আমার মা বোনদের মাথা ব্যাথা নেই কে আমাকে সমর্থন দিলো। দল আমাকে নমিনেশন দিয়েছে এটাই তাদের কাছে বড় ব্যাপার। ভোটাররা বেছে নিয়েছে তারা ভোট কাকে দিবে।
প্রচারণায় আইভীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির এলিন, কাউন্সিলর প্রার্থী হান্নান সরকার, শাহিন মিয়া, শিউলি নওশাদ, মায়ানুর, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি কামরুল হুদা বাবু, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোতালিব, শরীফ হীরা, হিমেলসহ স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ৷