সোনারগাঁয়ের খবর

সোনারগাঁয়ে প্রধান চারটি সড়ক বন্ধ, চরম ভোগান্তি

ডেস্ক রিপোর্ট, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কয়েকটি প্রধান সড়ক বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিপাকে পড়েছেন মুমূর্ষু রোগী ও জরুরি কাজে বের হওয়া মানুষ ও পণ্যবাহী যানবাহন।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম কয়েকজন পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার প্রধান চারটি সড়ক সোনারগাঁ যাদুঘরের দ্বিতীয় ফটকের পাশে, গোয়ালদী সড়কে, আদমপুর বাজার সড়ক ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় কাঁচা বাজারের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি লেন বাঁশ ফেলে ব্যারিকেট দিয়ে সড়কগুলো যানবাহন ও মানুষের চলাচল একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে।

চারটি সড়ক বন্ধ করে দেওয়ার কারণে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের ২০ গ্রামের ও সোনারগাঁ পৌরসভার ১৬টি গ্রামের মানুষ যারা কাঁচা বাজার কিংবা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছেন তারা দুর্ভোগে পড়েছেন।

সরেজমিন বিকাল ৩টায় উপজেলার প্রধান চারটি সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা রাস্তার পাশে বসে কান্নাকাটি করছেন।

পণ্যবাহী অনেক পিকাপ ভ্যান ও ট্রাক রাস্তায় আটকা পড়েছে। বিভিন্ন ব্যাংক ও শিল্পকারখানায় কর্মরত মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সোনারগাঁ পৌরসভার ফতেপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা আক্তার সকালে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন।

বাড়ি ফেরার পথে সোনারগাঁ যাদুঘরের দ্বিতীয় ফটকের সামনে বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় আর যেতে পারছেন না।

রাস্তায় আটকে পড়া উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের প্রেমেরবাজারের গ্রামের বাসিন্দা আলী মোশারফ হোসেন বলেন, আমার কন্যা মারাত্মক অসুস্থ। এখন আমি কিভাবে হাসপাতালে যাব। এ কথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পলাশ কুমার সাহা জানান, সোনারগাঁ উপজেলাকে করোনার রেডজোন হিসেবে চিহিৃত করা হয়নি।

মুমূর্ষু রোগী, গণমাধ্যম কর্মী ও যারা পাস নিয়ে জরুরি কাজে বের হবেন তাদের যাতায়াত করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে।

রপ্তানীমুখী ও বিভিন্ন পণ্যবাহী মালামাল বাহী যানবাহন লকডাউনের আওতামুক্ত।

ইউএনও আতিকুল ইসলাম জানান, সোনারগাঁয়ে করোনা রোগী ইদানিং বেশী এ কারণে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি।

বিশেষ প্রয়োজনে যাতায়াত করার প্রয়োজন হলে বাঁশ উপড়ে তুলে যেতে পারবে।

রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে মানুষের বেশী সমস্যা হলে বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র- কালের কন্ঠ

Related Articles

Back to top button