সোনারগাঁয়ের খবর

সোনারগাঁয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ, একজন আটক ভিক্টিম উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা :


সোনারগাঁয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় কালে অপহরণ কারি দলের একজন সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এবং ভিক্টিমকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভিক্টিমের বড় ভাই বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগ থেকে জানাযায়,গত ৯ এপ্রিল জামপুর ইউনিয়নের কাঠারাবো গ্রামের মোঃ খালেকের ছেলে আমজাদ হোসেন স্থানীয় মরিচটেক বিআর স্পিনিং মিলে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে একই ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিনের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক, আবুল হোসেনের ছেলে রিফাত হোসেন, জাফর আলীর ছেলে নূরে আলম, শুক্কুর আলীর ছেলে রানা, আলী হোসেনের ছেলে দিপু, আরাফাত সহ আরো ২/৩ জন মিলে দুপুর দুইটার সময় জোড় করে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে পিটাতে থাকে। আর বলে তোর পরিবারকে দুই লাখ টাকা নিয়ে আসতে বল। টাকা না দিলে তোকে শেষ করে ফেলব।

অপহরণকারীরা ওই দিন বিকাল ৫টায় আমজাতের সাথে থাকা মোবাইল দিয়ে তার বোন রিনা বেগমকে দুই লাখ টাকা দিতে বলে। টাকা না দিলে তারা আমজাদকে ছাড়বে না। রিনা পরিবারকে জানালে তার ভাই মাসুদ অপহরণকারীদের কথা মতো দুই লাখ টাকা নিয়ে পরের দিন অর্থাৎ ১০ এপ্রিল আড়াইটায় মালিপাড়া বিদ্যালয়ের সামনে টাকা নিতে আসা এক যুবককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশের মাধ্যমে অপহরনকারীদের সাথে কথা হয় ভিক্টমকে ছেড়ে দিতে। অপহরনকারীরা আমজাদকে ছেড়ে দিয়ে বলে আমাদের লোককে না ছাড়লে তোমাদের পরিনাম ভালো হবে না। আটককৃত আসামীর কাছ থেকে সকল আসামীদের নাম ঠিকানা ও বিস্তারিত তথ্য রেকর্ড করেন পুলিশ।

আটককৃত অপহরনকারী ওমর ফারুককে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ভিক্টিম আমজাদকে প্রথমে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওযা হয় পরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এবিষয়ে আমজাদের বড় ভাই মাসুদ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থাকায় একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, অপহরণকারীদের সর্দার হলো জামপুর ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে রিফাত। আটককৃত আসামীকে ছেড়ে দিতে আমাদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার পঙ্কজ জানান, অপহরণকারী একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিক্টিমকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button