সারাদেশ

সাংবাদিকদের মুখােমুখি হচ্ছেন না; আবু ত্ব -হা আদনানসহ চারজন

ডেস্ক রিপোর্ট, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিশ্রামে আছেন। কারও সঙ্গে কথা বলবেন না।

নিখোঁজের আট দিন পর ফিরে আসলে
শনিবার সকালে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রােডে ত্ব – হার বাড়িতে গেলে বাড়ির লােকজন কেউ সাড়া দিতে চাননি। বাড়ির ভেতর থেকে বলা হয়, ত্ব হা ঘুমিয়ে আছেন। বিশ্রামে আছেন। আবার কখনাে বলা হয়, ত্ব – হা তার শ্বশুরবাড়িতে আছেন। সেখান থেকে ত্ব – হার শ্বশুর আজহারুল মণ্ডলের বাড়ি নগরের বাবু খা মাস্টারপাড়ায় গিয়ে খোঁজ করা হলে ওই বাড়ির লােকজনও তেমন কিছুই বলেননি। ত্ব – হা কোথায় আছেন জানতে চাইলে তা – ও জানানাে হয়নি। তবে বাড়ির ভেতর থেকে একজন পুরুষ বলেন। ত্ব – হা তার পরিবারের সঙ্গে আছেন। ভালাে আছেন, সুস্থ আছেন। তাঁর বিশ্রাম প্রয়ােজন রয়েছে বলেই তিনি কারও সঙ্গে কথা বলবেন না।

এদিকে একই সঙ্গে নগরের আশরতপুরের বাসিন্দা গাড়িচালক আমির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়েও একই পরিস্থিতির মুখােমুখি হতে হয়। আমিরের ছােট ভাই ফয়সাল হােসেন বলেন, ভাই কারও সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আর কোনাে মন্তব্য করেননি। এই পরিবারের আর কোনাে সদস্যও সাংবাদিকদের মুখােমুখি হননি।

১০ জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন আবু ত্ব – হা আদনানসহ চারজন। অন্য তিনজন হলেন ত্ব – হার দুই সফরসঙ্গী আবদুল মুহিত ও ফিরােজ আলম এবং গাড়িচালক আমিরউদ্দিন। এ ঘটনায় ১১ জুন ত্ব – হার মা রংপুর কোতােয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি ( জিডি ) করেন। ত্ব – হা সপরিবার রংপুর শহরে থাকেন। তার মা আজেদা বেগম প্রথম আলােকে বলেছিলেন, তাঁর ছেলে ১০ জুন ঢাকার একটি মসজিদে খুতবা দেওয়ার জন্য রংপুর থেকে বিকেল চারটার দিকে ভাড়া করা একটি গাড়িতে রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন তার দুই সঙ্গী আবদুল মুহিত ও ফিরােজ আলম। গাড়িচালকের নাম আমিরউদ্দিন। ওই দিন রাত ২ টা ৩৬ মিনিটে আদনানকে তার স্ত্রী ফোন করলে তিনি বলেন, তিনি ঢাকার গাবতলীতে আছেন। মুঠোফোনের চার্জ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এরপর থেকে ত্ব – হাসহ সবার মুঠোফোনই বন্ধ ছিল। নিখোঁজের আট দিন পর খোঁজ মেলে আবু ত্ব হাসহ চারজনেরই।

গত শুক্রবার বিকেলে আবু ত্ব – হাকে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এবং বাকি তিনজনকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিয়ে যায়। পরে রংপুর নগরের সেন্ট্রাল রােডে অবস্থিত মহানগর পুলিশের উপকমিশনারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানাে হয়, আবু ত্ব – হাসহ চারজন গাইবান্ধার ত্রিমােহনী এলাকায় ত্ব – হার বন্ধু সিয়ামের বাসায় ব্যক্তিগত কারণে আত্মগােপনে ছিলেন।

পরে শুক্রবার রাতে আবু ত্ব – হা , আমিরউদ্দিন ও আবদুল মুহিতকে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোতােয়ালি আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, আদালতের বিচারক কে এম হাফিজুর রহমান জবানবন্দি নিয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন।

Related Articles

Back to top button