স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সোনারগাঁ পরিদর্শন ও প্রার্থনা শেষে যা বললেন-

সোনারগাঁও নিউজ :


স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী অধ্যাপক ডা.সামন্ত লাল সেন বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী ১৬ কোটি মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে আমাকে বেঁচে নিয়েছেন। আমি কখনো ভাবিনি মন্ত্রী হবো। আমার প্রতি সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। সাধারণ মানুষ যাতে সু চিকিৎসা পায় আমি সেই লক্ষে কাজ করে যাবো।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কোনো অবহেলা সহ্য করা হবে না। সারা জীবন অন্যায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছিলাম, এখনো আছি। তিনি বলেন, ডাক্তারের অবহেলায় কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে রোগীদের স্বজনদেরও মাথায় রাখতে হবে, কোনো মৃত্যু হলে হাসপাতাল এসে ভাঙচুর করা সেটিও কাম্য নয়। কি কারণে রোগীর মৃত্যু হলো সেটিও খেয়াল রাখতে হবে।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পরিদর্শন ও প্রার্থনা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বললে স্বাস্থ্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা আরো উন্নত করাই প্রধান লক্ষ্য। প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে পারলে শহরে রোগীর চাপ কমে আসবে। বাংলাদেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছি। দেখেছি সেখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা।

মন্ত্রী আরো বলেন, হাসপাতালের লাইসেন্স নেই,অনুমতি নেই এবং যেগুলোর অবকাঠামো নেই সেসব হাসপাতালগুলো বন্ধ করতে হবে। যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে এবং সে যে কেউ হোক তার বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সেটি একদিনের সম্ভব নয়, ধাপে ধাপে করা হবে সেজন্য আমাকে সময় দিতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি শিল্প ঘন এলাকা, এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আগুনে পোড়া অনেক রোগী ঢাকায় যায়। তাই নারায়ণগঞ্জের কোন একটি হাসপাতালে বার্ন ইউনিট খোলা যায় কিনা সেটি নিয়ে আমরা চিন্তা ভাবনা করছি। যে হাসপাতালে বার্ন ইউনিটি খোলা হবে সেই হাসপাতালের চিকিৎসকদের ঢাকায় বার্ন চিকিৎসা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হবে। তারপরই ইউনিটি খোলা হবে। এছাড়া সরকার সারাদেশের প্রতিটি জেলায় বার্ন ইউনিট কেন্দ্র করার পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন বাংলাদেশ বা বিশ্ব থেকে এখনো করোনা শেষ হয়ে যায়নি। তাই যারা অসুস্থ রোগী বৃদ্ধ আছেন তাদের অনুরোধ জনসভা করবো জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলবেন। নিয়মিত মাস্ক পরিধান করবেন।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার, স্বাস্থ্য বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিঞা, লাইন ডিরেক্টর (উপজেলা হেলথ কেয়ার) ডা. মো: রিজওয়ানুর রহমান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত মহিবুর রব, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা.আবুল ফজল মুহাম্মদ মুশিউর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা হক, বারদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল, বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি অশোক কুমার রায়, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শংকর কুমার দেসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, হিন্দু সম্প্রদায়ের ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Back to top button