সোনারগাঁয়ের খবর

সোনারগাঁয়ে ৭ দফা দাবিতে বাম জোটের রোড মার্চ ও সমাবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলাকারী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ, ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা, ব্যর্থতার দায়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণসহ ৭ দফা দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ঢাকা-কুমিল্লা-ফেনী-চৌমুহনী-রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ কেন্দ্রীয় রোড মার্চের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় কাঁচপুরে ও ১১ টায় সোনারগাঁ মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় বাসদ সোনারগাঁ উপজেলা সমন্বয়ক বেলায়েত হোসেন সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ,গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মনিরউদ্দিন পাপ্পু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টি ( মার্কসবাদী ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ফকরুদ্দিন কবির আতিক, সিপিবি জেলার সাধারণ সম্পাদক শিবনাথ চক্রবর্ত্তী, সিপিবি সোনারগাঁ উপজেলা নেতা আব্দুস সালাম বাবুল।

নেতবৃন্দ বলেন, কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, চৌমুহনী, রামগঞ্জ, রামগতি, চট্টগ্রাম, বাঁশখালী, কক্সবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, কুড়িগ্রাম, খুলনা, ফেনী, নাটোর, পীরগঞ্জসহ সারাদেশে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসে দেশবাসী স্তম্ভিত হয়েছে। মন্দির, হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, হামলা হয়েছে, অথচ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কেউ এগিয়ে এলো না । এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পূর্ব পরিকল্পিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সরকার গণবিচ্ছিন্নতা ও গণবিক্ষোভের ভয়ে দেশকে ধর্মীয় বিভাজনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর দায় অবশ্যই সরকার-প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে নিতে হবে। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততার কারণেই বিভিন্ন জেলায় এ সহিংসতা ঘটেছে। এ ঘটনায় দায়ে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অপসারণ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিগ্রস্থদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন,১৯৭১ সালে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে দেশটা স্বাধীন হল। গত ৫০ বছর ধরে মুক্তিযুর্দ্ধে চেতনার বিপরীতে শাসকগোষ্ঠি দেশ শাসন করে সাম্প্রদায়িক মননের সামাজিকীকরণ ঘটিয়েছে। ফলে আজ প্রয়োজন সংবিধানের ৩২ নং ধারা পুনঃস্থাপণ করে ধর্মীয় রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। রাষ্ট্রধর্ম বিল ও সংবিধানের উপর বিসমিল্লাহ্ বাতিল করা । ধর্মীয় আলোচনার নামে ভিন্ন ধর্মের বিরুদ্ধে ও নারী বিদ্বেষী বক্তব্য দানকারীদের বিরুদ্ধে প্রদক্ষেপ নেয়া।

Related Articles

Back to top button