সারাদেশ

শুক্রবারের বিক্ষোভ কর্মসূচি সফলের আহবান হেফাজত আমীরের

কে এম ইউছুফ, সোনারগাঁ টাইমস ২৪ ডটকম :

বাংলাদেশে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্নস্থানে মিছিলে পুলিশের গুলিতে হেফাজত নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম আহুত আগামী ২ রা এপ্রিল শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচী পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও শিক্ষা পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

আজ বুধবার (৩১ মার্চ) তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ই’নামুল হাসান ফারুকী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে আমীরে হেফাজত আল্লামা বাবুনগরী বলেন-

“ভারতের কসাই মোদির আগমনের প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ ঢাকা বায়তুল মোকাররম, হাটহাজারী, যাত্রাবাড়ী, বি-বাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত তৌহিদি জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে ২০ জনকে শহীদ করা হয়েছে এবং গুলি ও টিয়ারস্যাল নিক্ষেপ করে শতশত প্রতিবাদী তৌহিদি জনতাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে এভাবে পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে আগামী শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি পালন করুন। বাদ জুম’আ দেশের প্রতিটি মসজিদ থেকে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিবাদ মিছিল বের করুন।

এ প্রতিবাদ দেশ কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে নয় উল্লেখ করে হেফাজত আমীর বলেন- মোদি মুসলমানদের রক্তখেকো, ভারতের গুজরাটের আহমদাবাদে হাজার হাজার মুসলমানদের রক্ত ঝরিয়েছে কসাই মোদি। কাশ্মীরের মুসলমানদের রক্তে এই খুনী মোদির হাত এখনো রঞ্জিত। সে ৫০০ শত বছরের মুসলিম নিদর্শন বাবরী মসজিদকে ভেঙে সেখানে রাম মন্দির নির্মাণ করে মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছে। ৯০% মুসলমানের দেশে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হওয়ায় তৌহিদি জনতার উপর এভাবে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ কখনো মেনে নেওয়া যায় না।

আল্লামা বাবুনগরী বলেন- নিরিহ-নিরস্ত্র ছাত্রদেরকে পাখির মতো গুলি করে হামলা ও শহীদ করলো এর কোন বিচারের উদ্যোগ এখনো নেয়া হয়নি। বরং দেশের বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীসহ তৌহিদি জনতার উপর নানা হয়রানি করা হচ্ছে বলে আমরা খবর পাচ্ছি।

অতিসত্বর তৌহিদি জনতার উপর হামলা মামলা ও হয়রানী বন্ধ করতে হবে। এবং গ্রেফতারকৃতদেরকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

হুশিয়ারী উচ্চারণ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন- মোদি ইস্যুতে যদি আর একজন তৌহিদি জনতার রক্ত ঝরে বা ওলামায়ে কেরামকে হামলা মামলা ও হয়রানি করা হয় তাহলে এর প্রতিবাদে পুরো দেশে আন্দোলনের দাবানল জ্বলে উঠবে। প্রয়োজনে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে”।

Related Articles

Back to top button