রাজনীতিসোনারগাঁয়ের খবর

শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বিএনপি নেতার ভাই আওয়ামী লীগের পদ পেতে মরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদপেতে মরিয়া শম্ভপুরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউছার এর ছোট ভাই আনিসুর রহমান শামীম ।

শামীম সোনারগাঁ উপজেলার শুম্ভুপুরা ইউনিয়নের এলাহি নগর পূর্বপাড়ার মৃত নুরুদ্দিনের ছেলে। তার পুরো পরিবার বিএনপি -জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত। শামীমের একভাই কাউসার শম্ভপুরা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। আরেক ভাই কবির মেম্বার। তিনি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টীর সাধারণ সম্পাদক। তার বড় দুই ভাই,জহিরুল ও দুলাল ঘোরতর বিএনপি সমর্থক। এক কথায় তাদের পুরো পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন দলের রাজনীতি করায় সব সময়ই তারা সরকারি লোক।

এ নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মাঝে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

ইউনিয়নের সাধারণ কর্মীরা বলছেন,তারা সব ভাই মিলে পরিবারের মধ্যে দল ভাগ করে নিয়েছে যেন সরকারের পরিবর্তনে তাদের কোন অসুবিধা না হয়। যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক,কোন না কোন ভাই তাদের রক্ষা করবেই।

গত এক বছর আগে হয়ে যাওয়া ইউপি নির্বাচনে শামীম ও তার পরিবার সরাসরি নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে গিয়ে তারই আত্মীয় জাতীয় পার্টীর থানা সভাপতি আঃ রউফের লাঙ্গল মার্কার নির্বাচন করে। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাসিরুদ্দীন (নৌকা) ফেল করেন।

আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগের জন্য তার তেমন কোন ত্যাগ না থাকলেও এখন নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি একেএম শামীম ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে পদ বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টায় মত্ত।

উল্লেখ,গত ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের ঘটনায় সদ্য সাবেক হওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীমের চাচা আবু বক্কর সিদ্দিক মোল্লার নির্দেশে আনিসুর রহমান শামীম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মীদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ রয়েছে।

তদন্তের পর গত ২১ ফেব্রুয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল কায়সার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের তৎকালীন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এ বিষয়ে তৃণমূলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও মনোকষ্ট বিরাজ করছে।

তার মধ্যে আবার ওসমান পরিবারকে তার সাথে ইউনিয়নে টেনে এনে বিতর্কিত করতে মরিয়া হয়ে প্রচার প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে।

তৃনমূল কর্মীরা বলছেন আমাদের নেতা, পার্টীর সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আওয়ামী পরিবারের সদস্যদের মূল্যায়িত করে তৃণমূল কর্মীদেরকে দিয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও থানা কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এর বাস্তবায়ন চাই। বিএনপির ডিম যেন শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ তা না দেয়। বিএনপি ঘরনার পরিবার থেকে যেন আওয়ালীগ কমিটিতে স্থান না পায়। তা থানা ও জেলা নেতাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।

এব্যাপারে শামিম জানান, রেজাউল করিম মন্ত্রী থাকাকালে জোরপূর্বক আমার ভাইকে ছাত্রদলে যোগদান করান। এখন সে এ সবের মধ্যে নাই। আর সে তো কোন আওয়ামীলীগের উপর প্রভাব বিস্তার করতে যায়নি। আমি ও আমার পরিবারের সবাই এখন আওয়ামী আদর্শে বিশ্বাসী।

এ বিষয়ে জানতে সোনারগাঁ  থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি  অ্যাড. শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কেউ চাইলেইতো আর পদ দিয়ে দেই নাই। যাচাই বাচাই করেই দিবো।

Related Articles

Back to top button