শিক্ষা

ঢাবির সেই শিক্ষকের পিএইচডিতে চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পেয়েছে কমিটি

অনলাইন নিউজ ডেস্ক, সোনারগাঁ টাইমস২৪ ডটকম :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাঁর শাস্তি নির্ধারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক নিয়মিত সভায় এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিন্ডিকেটের দুজন সদস্যের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। তাঁরা জানান, লুৎফুল কবীরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ নিয়ে ওঠা চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন আজকের (বৃহস্পতিবার) সিন্ডিকেট সভায় উত্থাপন করা হয়। তদন্ত কমিটি চৌর্যবৃত্তির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে। লুৎফুল কবীরের শাস্তি নির্ধারণে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন মো. রহমত উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দিয়েছে সিন্ডিকেট। ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের ২১ জানুয়ারি প্রথম আলো অনলাইনে ‘ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি গবেষণার ৯৮% নকল’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় লুৎফুল কবীরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দেয় সিন্ডিকেট।

আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের পিএইচডি অভিসন্দর্ভে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ ওঠার পর তা জোগাড় করে যাচাই করেছে প্রথম আলো। গবেষণার চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় সফটওয়্যার টার্নইটইনের মাধ্যমে অভিসন্দর্ভটি যাচাই করে দেখা গেছে, ২০১২ সালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী-গবেষকের জমা দেওয়া একটি ‘স্টুডেন্ট পেপারস’-এর সঙ্গে লুৎফুল কবীরের নিবন্ধের ৯৮ শতাংশ হুবহু মিল রয়েছে। এটিসহ মোট ১৭টি জার্নাল, আর্টিকেল ও গবেষণাপত্রের সঙ্গে নিবন্ধটির বিভিন্ন অংশের উল্লেখযোগ্য মিল পাওয়া গেছে, যেগুলোর সবই লুৎফুল কবীরের অভিসন্দর্ভের আগে প্রকাশিত হয়েছে। টার্নইটইন সফটওয়্যার থেকে পাওয়া গবেষণার অরিজিনালিটি রিপোর্টসহ এ-সংক্রান্ত সব তথ্য ও নথিপত্র প্রথম আলোর কাছে রয়েছে।

‘সংস্কৃত বিভাগে একজনও যোগ্য প্রার্থী নেই’

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগ বোর্ড বসেছিল। সেখানে ১৬ প্রার্থীর কেউই সংস্কৃত লিখতে বা পড়তে পারেননি। ফলে কাউকেই নিয়োগের সুপারিশ করেনি বোর্ড। এ অবস্থায় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশন অব কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলকে (আইকিউএসি) ওই বিভাগের পাঠ্যসূচি ও শিক্ষার্থীদের দক্ষতা (পারফরম্যান্স) পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে।

এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নবপ্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গঠনতন্ত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী ২৪ গবেষককে পিএইচডি ও ১৭ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়।

Related Articles

Back to top button