শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

সোনারগাঁয়ে ভূয়া সনদে এমপিওভুক্ত : দেখার কেউ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা :


সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রায় শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বৈদ্যের বাজার এন এ এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে ভূয়া সনদে এমপিওভুক্ত হওয়ার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী এ্যাডঃ আশরাফ হোসেন দোলন শিক্ষা মন্ত্রনালয়, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বৈদ্যের বাজার পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারী সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ভূয়া (জাল) সনদ দিয়ে স্কুলে নিয়োগ পায়। তার আইডি নং-৪৮৯৩০৯। স্কুলে নিয়োগ লাভের পরও অনেক চেষ্টা তদবির করে প্রায় আড়াই বছর পর এই শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছিলেন।

জানাযায়, তার বি.এড সনদ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে ক্রয় করা।

এছাড়াও কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে স্কুলে জাল সনদ, বিভিন্ন লাইব্রেরীর সঙ্গে বই বাণিজ্য সহ তিনি স্কুলে যোগদানের পর থেকে সিন্ডিকেট তৈরী করে দুর্ণীতির রাজত্য কায়েম করা, কথায় কথায় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্কুলের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, দপ্তরী-আয়া সহ প্রায় সবার সাথেই দুব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সচেতন মহল প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেনের এসব ভূয়া সনদ, স্বেচ্ছাচারীতা ও অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলেই তিনি নিজেকে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে তাদেরকে হামলা-মামলার ভয়-ভিতি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে।

কামাল হোসেনের ভূয়া সনদে এমপিওভূক্ত হওয়ার লিখিত অভিযোগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইউনুছ ফারুকী স্বরজমিনে তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে তিনি বলেন, বিষয়টিকে আমি বৈধ বা অবৈধ কিছুই বলবো না। তবে এব্যাপারে মন্ত্রনালয়ের আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এব্যাপারে বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার বলেন, এমন গুঞ্জন আমিও শুনছি। বিষয়টি দেখার কথা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

সোনারগাঁ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বিষয়টি দুই মাস আগে তদন্ত করেছে এখনও তার রিপোর্ট আসেনি।

ভূয়া সনদে এমপিওভূক্ত হওয়া বৈদ্যের বাজার এন এ এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক মোঃ কামাল হোসেন বলেন, এগুলি পুরাতন কাহিনী। আজকাল এসব ভূয়া সনদে কিছু হয় না। তদন্ত হয়েছে কিছুই পায়নি। যদি কেউ আমার বিরুদ্ধে ভুলভাল লিখে আমি আইসিটি আইনে মামলা করবো।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button